প্রধান উপদেষ্টার সাধীনতা দিবসের ভাষণ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এর ২৬ মার্চ ২০২৫ উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণ-

 

*এখন আর আপনাদের কোন সরকারি অফিসে যেতে হবেনা। কারণ সরকারি সকল কাজ অনলাইনে হচ্ছে।ঘুষের রাজত্ব হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে।

*প্রবাসীরা আমাদের অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে।
যা এদেশে ইতিহাসের সরকারের পক্ষে প্রথম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ।

*আমরা রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করেছি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছি।অর্থাৎ পণ্যের দাম কমেছে ২৫ রজমানের একদিন রাতও কারেন্টের সমস্যা কেউ ফেইস করতে হয়নি।

*পৃথিবীর সকল দেশের সরকার বাংলাদেশকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে শিল্প উন্নত দেশগুলো।

*আরব আমিরাতের ভিসা কয়েক বছর ধরে বন্ধ। দ্রুত খোলার জন্য একমত হয়েছে আমিরাতের সরকার।
এমনকি সরকার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

*আসিয়ান সদস্য হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যা দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও দেশের অর্থনীতিকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

*আমাদের দেশ থেকে শ্রমিক যাবে মালয়েশিয়া ,যেখানে সকল সমস্যার অবশান ঘটানো হচ্ছে কোন জটিলতা ছাড়াই যেতে পারবেন।

*চীন দিবে প্রযুক্তি সহায়তা,মেডিক্যাল সহায়তা ও সৌরবিদ্যুৎ সুবিধা ও চিকিৎসা সেবা সহায়তা যেখানে আর ভারতে যেতে হচ্ছেনা।

*নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আনার আলোচনা চলছে। মানে ভারতের দাসত্ব থেকে বের হতে পারবেন।

*আমাদের উৎপাদিত পণ্য বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়বে। বাহিরের পণ্য বাংলাদেশে আসবে।এতে করে কৃষকরা লাভবান হবে।দেশের কৃষকরা নতুন স্বপ্ন দেখবে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

*দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য চালু হচ্ছে অনলাইনে সকল ধরনের সরকারি সেবা।

*জমি সংক্রান্ত সকল কাজ অনলাইনে হবে। যেখানে বড় অংকের ঘুষ আর হয়রানি পোহাতে হবেনা হয়তো।

*জাতীয় রাজস্ব বিভাগ ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ বড় বড় দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ হয়তো আর পাবেনা।

*জিডি করার জন্য আর থানায় যেতে হবেনা।
ঘরে বসেই থানায় জিডি করা যাবে। সেই কার্যক্রম দ্রুত সময়ের ভিতরেই অনলাইনে চালু হচ্ছে।

*নারীদের অভিযোগ কেন্দ্রের সবকয়টা কল সেন্টারে নারী নিয়োগ করা হচ্ছে।এখন সবাই মন খোলে সকল অভিযোগ বলতে পারবেন।

*নারীদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। নারী পুরুষের বৈষম্য দূর করতে সর্বোচ্চ সংস্কার হয়তো এদেশে হবে।

*প্রবাসী বাংলাদেশীদের হয়রানি বন্ধ করা হচ্ছে।
বিমানের টিকেট সম্পূর্ণ অনলাইন করা হয়েছে যার কারণে ৭৫% টিকেটের দাম কমেছে। মানে দালাল সিন্ডিকেট মুক্ত টিকেট বাজার।প্রবাসীরা সহজেই দেশে আসা যাওয়া করতে পারবে।

*হাজীদের জন্য মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। যেখানে থাকবে, থাকছে আর লাগেজ হারানোর ভয়। ডাক্তারি সেবা পাবেন। যেখানে যাবেন সেখানের ইতিহাস বাংলায় পড়তে পারবেন। থাকছে নিরাপদে ভ্রমণের সুবিধা।

*স্টারলিংকের কথা যদি বলি, কোন সরকার চাইলে আর তথ্য পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবেনা।

*দেশের তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। পাসপোর্ট এখন ঘরে বসে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে পৌঁছে যাবে আপনার ঘরে। সহজেই বাহিরে যেতে পারবেন।

*গুজব নিয়ন্ত্রণে হেল্প করবে জাতিসংঘ, অর্থাৎ বাংলাদেশের কেউ হেল্প না করলেও বিদেশি শক্তি সহায়তা করবে।(যেটা অপকারও আছে বটে)

*গণহত্যাকারীদের বিচার হবেই কারণ এটাই সরকারের মূল উদ্দেশ্যে। দুর্নীতিবাজদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করছে।
পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনছে।

*জুলাই চার্টার হচ্ছে। কে কোন সংস্কার চাচ্ছে কিংবা কে কি কি সংস্কার চাচ্ছেনা সবই জনগণ দেখতে পারবে কারণ সরকার সবকিছু ওয়েবসাইডে দিয়ে দিবে অর্থাৎ কোন দলটা দেশপ্রেমিক জনগণ দ্রুতই জানতে পারবেন।

*ডিএনএ টেস্টের ল্যাব নির্মাণে কাজ চলছে তার মানে অপরাধীকে দ্রুত সনাক্ত করার সহজ উপায় থাকছে।

*মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। রেমিট্যান্স সর্বোচ্চ আসছে। দূতাবাসগুলো যেন দ্রুত কাজ করে সেই বিষয়েও কাজ করছে।

আবারও বলছি ইউনূস স্যার আপনি কল্পনার থেকেও মেধাবী। এমন মেধাবী ,দেশপ্রেমিক জনবান্ধব মানুষই আমরা চেয়েছিলাম।দলমতের ভেদাভেদ ভুলে দেশপ্রেমিক মানুষগুলোকে সহায়তা করলে হয়তো দেশ বিশ্বের উন্নত দেশে পরিনত হতে বেশি সময় লাগবেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *