ঢাবিতে গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল

ঢাবিতে গণপিটুনিতে একজন নিহত: জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে ছয় শিক্ষার্থী

 

বুধবার (১৮/০৯/২০২৪) হলের ভেতরে ৩৫ বছর বয়সী তোফাজ্জল হোসেনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

 

তারা হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মুহাম্মদ জালাল মিয়া, মাটি, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমন মিয়া; ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্সের মোত্তাকিন শাকিন; গণিতের আহসানউল্লাহ; আল হোসেন সাজ্জাদ ও ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ওয়াজিবুল আলম।

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তার চেম্বারে পুলিশ হাজির করার পর হত্যা মামলায় ছয়জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন, এসআই সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে বক্তব্যের বিস্তারিত জানা যায়নি।

 

তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার পর ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের জেলহাজতেও পাঠিয়েছেন বলে জানান এসআই।

 

বুধবার (১৮/০৯/২০২৪) রাতে ঢাবির একদল শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে চোর ভেবে ফজলুল হক মুসলিম হলে নির্যাতন করে হত্যা করে।

 

তবে, তার স্বজনরা বলছেন, তোফাজ্জল তার বাবা-মা ও ভাইয়ের মৃত্যুর পর “মন হারিয়ে ফেলে” এবং ড্রিফটার হয়ে গিয়েছে।

 

নৃশংস মৃত্যুর একদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আমানউল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

 

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাকে নির্যাতন করে, কিছুক্ষণ থেমে, তাকে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে নিয়ে যায়, খাওয়ায় এবং তারপর আবারও নির্যাতন করে। ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ এবং প্রক্টর অফিসকে অবহিত করা হলেও লিঞ্চিং বন্ধে কিছুই করা হয়নি।

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তোফাজ্জলকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে এবং তিনি সবে শ্বাস নিচ্ছেন। পুলিশ অবাক হয়েছিল যে কর্মকর্তারা একজন মৃত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে থানায় নিয়ে এসেছিলেন।

 

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঐদিন রাত ১১টার দিকে দুই শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে প্রক্টর অফিসের গাড়িতে উঠতে সাহায্য করছে। গাড়িটি সরাসরি শাহবাগ থানায় চলে যায়।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী তোফাজ্জলকে সেখানে নেওয়ার আগেই মারা যান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *